সমন্বয়ক ও উপদেষ্টার সুপারিশে ১৫০ জনকে ওয়াসায় চাকরি!

2
সমন্বয়ক ও উপদেষ্টার সুপারিশে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তী সরকারের ছাত্র উপদেষ্টাদের সুপারিশে ওয়াসায় বিধি বহির্ভূতভাবে ১৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আমজনতার দল। এ বিষয়ে দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গতকাল সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে দলটি। সংবাদ সম্মেলনে এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানায় দলটি।

 

এর আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও পরীক্ষা ছাড়াই ঢাকা ওয়াসা ১৫০ জনকে রাতারাতি বিভিন্ন জোনে চাকরি দিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এতে বলা হয়েছে, বেশির ভাগ সুপারিশে আছে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব, ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের নাম। সুপারিশকারী ও রেফারেন্সদাতাদের নামের তালিকায় রয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম, তৌহিদ ও নাজমুলের নামও।

 

এদিকে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আউটসোর্স জনবল নিয়োগ দানকারী কর্তৃপক্ষ ঢাকা ওয়াসা নয়। তবে আউটসোর্স জনবল নিয়োগের জন্য ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় এবং নিয়োগকৃত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চাহিদা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল সরবরাহ করে।

 

এতে আরো বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা আউটসোর্স পদ্ধতিতে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো নিয়োগপত্র দেয় না। প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার এমডি, ডিএমডি, সচিব, মাননীয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পিএস ও এপিএস, ছাত্র সমন্বয়ক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সুপারিশের কথা উল্লেখ করে যে তালিকা দেখানো হয়েছে, তা সঠিক নয় এবং বিষয়টি দুঃখজনক। তালিকার সঙ্গে তাদের এবং ঢাকা ওয়াসার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই জনবল নিয়োগ বা সরবরাহ কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করে।

 

এদিকে মশিউজ্জামানের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের একাংশ নিয়ে গঠিত আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান গতকাল সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছেন। সেই সঙ্গে একাধিক সমন্বয়কের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন সময়ে নানা জালিয়াতির অভিযোগ করেন তিনি।

 

লিখিত বক্তব্যে বিভিন্ন সময়ে হওয়া উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের অনিয়মের বিচারের দাবি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, এই নিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও তাঁর পিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে হিষ্কার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সাবেক উপদেষ্টা নাহিদের নিয়োগ দুর্নীতি দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। সচিবালয় ও সরকারি অফিসগুলোতে ছাত্র প্রতিনিধি নামে কর্তৃত্ববাদী সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here